জাফর ইবন আবী তালিব (রা) | ১ম পর্ব

 আবু আবদিল্লাহ জা’ফর নাম,পিতা আবু তালিব এবং মাতা ফাতিমা। কুরাইশ গোত্রের হাশেমি শাখার সন্তান। রাসূলুল্লাহর (সা) চাচাতো ভাই এবং হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর সহোদর। বয়সে আলী (রা) থেকে দশ বছর বড়।
আবদে মান্নাফের পাঁচ ব্যক্তির চেহেরা রাসূলূল্লাহরর (সা) চেহেরার সাথে এত বশেী মিল ছিল যে প্রায়শঃ ক্ষীণ দৃষ্টির লোকেরা তাদের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে তারগোল সাথে এত বেশী পাকিয়ে ফেলতো। সে পাঁচ ব্যক্তি হলেনঃ  

১। আবু সুফিয়ান ইবনুল হারিস ইবন আবদিল মুত্তালিব। তিনি একাধারে রাসূলূল্লাহর (সা) চাচাতো ভাই এবং দুধ ভাই। ২। কুসাম ইবনুল আব্বাস ইবন মুত্তালিব। তিনি রাসূলূল্লাহর (সা) চাচাতো ভাই। 

৩। আস-সায়িব ইবন উবাইদ ইবন আবদে ইয়াযিদ ইবন হাশিম। তিনি ছিলেন ইমাম শাফেয়ীর (রহঃ) পিতামহ। ৪।হাসান ইবন আলী- রাসূলূল্লাহর (সা) দৌহিত্র। রাসূলূল্লাহর (সা) চেহেরার সাথে তার চেহেরার সাদৃশ্য ছিল সর্বাধিক। ৫ম ব্যক্তি হলেন জা’ইবনে আবী তালিব। 

কুরাইশদের মধ্যে উচ্চ মর্যাদা ওসম্মানের অদিকারী হওয়া সত্বেও অধিক সন্তান সন্ততি ও পোষ্যের কারণে আবু তালিবের আর্থিক অবস্থা ছিল দারুন অসচ্ছল। মরার ওপর খাড়ার ঘা’র মত সেই অনাবৃষ্টির বছরটি তাঁর অসচ্ছল অবস্থাকে
আরও নিদারুণ করে তোলে। সেই মারাত্মক  খারার বছরে কুরাইশদের  সব ফসল পুড়ে যায়, গবাদি পশুও ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে একটা হাহাকার পড়ে যায়। এ সময় বনী হাশিমের মধ্যে মুহাম্মদ বিন আবদিল্লাহ এবং তাঁর চাচ আব্বাস অপেক্ষা অধিকতর সচ্ছল ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। 

একদিন মুহাম্মদ (সা) চাচা আব্বাসকে বললেনঃ ‘চাচা’ আপনার ভাই আবু তালিবের তো অনেক সন্তানাদি। মানুষ এ সময় দারুণ দুর্ভিক্ষ ও অন্নকষ্টের মধ্যে আছে। চলুন না আমরা তার কাছে যাই এবং তাঁর কিছু সন্তনের বোঝা
আমাদের কঁধে তুলে নেই। তাঁর একটি ছেলেকে আমি নেব এবং অপর একটিকে আপনি নেবেন।

 আব্বাস মন্তব্য করলেনঃ তুমি সত্যি একটি কল্যানের দিকে আহ্বান জানিয়েছ এবং একটি ভালো কাজের উৎসাহিত করেছ। 

অতঃপর তাঁরা দু’জন আবু তালিবের নিকট গেলেন। বললেন ‘আমরা এসেছি আপনার পরিবারের কিছু বোঝা লাগব করতে, যাতে মানুষ যে দুর্ভিক্ষে নিপতিত হয়েছেতা থেকে আপনি কিছুটা মুক্তি পান।

 আবু তালিব বললেন, ‘আমার আমার জর‌্য আকীলকে (আকীল ইবনে আবী তালিব) রেখে তোমার যা খুশি তাই করতে পার। অতঃপর মুহাম্মদ (সা) নিলেন আলীকে এবং আব্বাস জ’ফরকে। 

আলী প্রতিপালিতহতে লাগলেন মুহাম্মাদের (সা) তত্বাবধানে। অতঃপর  আল্লাহ তা‘আলা মুহাম্মদকে (সা) নবুয়ত দান করেন এবং যুবকদের মধ্যে আলীই তার ওপর প্রথম ঈমান আনার সৌভগ্য অর্জন করে। চলবে....


নবীনতর পূর্বতন