যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়!

কুরবানী (আরবি: الأضحية‎, উর্দু: قربانی) হলো ঈদুল আযহার সময় নির্দিষ্ট পশু আল্লাহর নামে জবাই করার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি ইসলামে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও পবিত্র আমল, যা মুসলিম উম্মাহর জন্য বড় এক পরীক্ষা, আত্মত্যাগের প্রতীক ও তাকওয়ার প্রকাশ।

🕋 কুরবানী কী?

কুরবানী মানে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।

এটি স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও তাঁর পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের ঘটনা, যাদের আল্লাহ পরীক্ষার মাধ্যমে মানবজাতির জন্য উদাহরণ বানিয়েছেন।

📜 কুরআনে আল্লাহ বলেন:

“তোমরা তোমার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামায পড়ো ও কুরবানী করো।”

(সূরা কাওসার: আয়াত ২)

🧕🧔 যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব?

কুরবানী ওয়াজিব (অবশ্য পালনীয়) নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণকারীর জন্য। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো:

✅ কুরবানী ওয়াজিব হয় সেই ব্যক্তির উপর, যিনি:

মুসলিম হন।

বালেগ (প্রাপ্তবয়স্ক) হন।

আকিল (স্মরণশক্তিসম্পন্ন/বিবেকবান) হন।

মুকীম (মুসাফির না হন) — অর্থাৎ নিজ শহরে অবস্থান করেন।

নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন — যার নিকট ঈদুল আযহার দিন ফজরের সময় এত সম্পদ থাকে যা সাড়ে ৭ ভরি (৬১২.৩৬ গ্রাম) রূপা বা সমমূল্যের সম্পদ (প্রয়োজনের অতিরিক্ত)।

💸 নিসাবের উদাহরণ:

আপনার কাছে যদি ঈদের দিন সকালে নগদ টাকা, স্বর্ণ, রূপা, ব্যবসার পণ্য বা বাড়তি সম্পদ মিলিয়ে প্রায় ৫২-৬০ হাজার টাকার মালিকানা থাকে (রূপার দামে অনুযায়ী), তাহলে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব।

🐄 কুরবানির পশুর ধরন:

🐐 ছাগল / ভেড়া – ১ জনের পক্ষ থেকে

🐄 গরু – ৭ জনের পক্ষ থেকে (শর্তসাপেক্ষে)

🐫 উট – ৭ জনের পক্ষ থেকে

🗓️ কুরবানির সময়:

১০ জিলহজ (ঈদুল আযহার দিন) ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু

১১ ও ১২ জিলহজ – মোট ৩ দিন

তবে ঈদের নামাজের আগে কুরবানী গ্রহণযোগ্য নয়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন