উসমানী খিলাফত | পর্ব -৪

২. ওরখান

১. সুলতান পদে ওরখান

আমীর উসমানের সুযোগ্য পুত্র ছিলেন ওরখান। ১৩২৬ খৃষ্টাব্দে তিনি ব্রূুুসা -র মসনদে বসেন। তিনি সুলতান ‘উপাধি ধারণ করেন। উল্লেখ্য যে উসমানই তাকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করে যান। 

২. ওরখান যেমন ছিলেন 

আমীর  উসমানের  মতোই ওরখান সাদাসিধে জীবন যাপন করতেন । তিনি ছিলেন আর ইসলামের  একজন  নিষ্ঠাবান অনুসারী। তিনি রাষষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে বহু ,মসজিদ ‘ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  এবং হাসপাতাল স্থাপন করেন ।রাজধানী ব্রূুসাকে  তিনি একটি আদর্শ শহরে পরিণত করেন। ব্রূুসাতে তিনি একটি সুদৃশ্য মাসজিদ নির্মাণ করেন। 

পিতার মতোই তিনি  জাতি -ধর্ম-নির্বিশেষে সকর মানুষের সুখ সমৃদ্ধির চেষ্টা করন।

তিনি ছিলেন উঁচু মানের শাসক। পিতার মতো তিনিও  রণ-কৌশলে পারদর্শী ছিলেন। উসমানের শাসনকালে কোন নিয়মিত সেনাবাহীনি ছিলোনা। যুদ্ধের সময় ঘোষণা দেওয়া হতো। আগ্রহী লোকেরা এগিয়ে আসতো। তাদেরকে ট্রেনিং দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যাওয়া হতো। দূরদর্শী ওরখান একটি নিয়মিত সেনাবাহীনির  প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় বেতনভোগী নিয়মিত সেনাবাহীনি গড়ে ওঠে। পদাতিক বাহীনিকে নাম দেওয়া হয় পিয়াদা এবং অশ্বরোহী বাহীনিকে বলা হতো সিপাই। যুদ্ধবন্দী খৃষ্টান যুবকদের মধ্য থেকে যারা ইসলাম গ্রহণ করে তাদেরকে নিয়ে জাননিসার নামে একটি সৈন্য দলও তিনি গড়ে তুলেন। 

৩. রণাংগনে  ওরখান

উসমানের মতোই বরযোদ্ধা ছিলেন ওনখান। ১৩২৭ খৃষ্টাব্দে গ্রীসের রাজা তৃতীয় এনন্ডোনিকাস এক বিশাল সৈন্যবাহিনী নিয়ে ওরখানের বিরুদ্ধে নামেন। পেলিকানন প্রান্তরে ওরখান তার মুখোমুখি হন।যুদ্ধে পরাজিত হয়ে  গ্রীস-রাজা রাতের আধারে পালিয়ে যান । ওরখান সসৈন্য নাইসিয়া প্রবেশ করেন । নাইসিয়ার  অধিবাসীগণ মুসলিমদের আচরণে মুগ্ধ হয়। নাইসিয়ার অধিকাংশ  অধিবাসী স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করে  মুসলিম উম্মার অন্তর্ভুক্ত হয়।

১৩৩৮ খৃষ্টাব্দে ওরখান সসৈন্যে নিকোমেডিয়া অভিমুখে অগ্রসর হলেন সেখানকার অধিবাসীগণ বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করে। ওরখানের শাসনকালে উসমানী  সৈন্যগণ  সর্বপ্রথম ইউরোপ ভূ-খন্ডে পা দেয়। ১৩৫৬ খৃষ্টাব্দে ওরখান গ্যালিপলি জয় করেন। স্থানীয় রাজা রাজকুমারী থিয়োডোরাকে ওরখানের নিকট বিয়ে দনে।

৪. ওরখানের ইন্তিকাল

১৩৫৯ খৃষ্টাব্দে ওরখান৭৫ বছর বয়সে ইন্তিকার করেন । তিনি ৩৩ বছর শাসনকার্য  পরিচালনা করেন।

নবীনতর পূর্বতন