হুজুর ছেলে-(পর্ব.১)

ছাওদা দাড়াও কোথায় যাচ্ছ। (আশরাফ সাহেব)


-- বাবা কলেজে যাচ্ছি। (ছাওদা)

--কলেজে যাচ্ছ ঠিক আছে এসব কি পরেছো।(আশরাফ সাহেব)

-- কেন বাবা টপস্ আর সর্ট পরেছি।(ছাওদা)

--মা এই পোশাক চেন্স করে বোরকা পরে যাও। (আশরাফ সাহেব)

-- বাবা কি বলছ এসব আমি বোরকা পরতে পারবো না।যারা ওল্ড মডেল বোরকা কেউ পরে। আমি বোরকা পরতে পারবোনা।(ছাওদা)

--মা বোরকাই মেয়েদের সবচেয়ে নিরাপদ পোশাক।(আশরাফ সাহেব)

--বাবা আমি গ্রামের গেয়োদের মতো বোরকা পরতে পারবো না। বাবা আমার দেরি হয়ে আমি কলেজে যাচ্ছি। (ছাওদা)
[ছাওদা আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে গেল।যতক্ষণ এখানে থাকবে তাকে ইসলামের কথা বলবে]

--আশরাফ সাহেব মেয়ের গমন পথে চেয়ে আছেন। আর মনে মনে ভাবছে কিভাবে মেয়ে সঠিক পথে আনা যায়।

[ছাওদা বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। এবার কলেজে পাদিয়েছে।এন্টার ফাস্ট ইয়ারে পরে।ছাওদার বাবা মা ধার্মিক কিন্তু ছাওদা তার উল্টো।অতি আদরে আজ এ অবস্তা।ছাওদার বাবা আশরাফ সাহেব ব্যবসায়ী। এবং একমাত্র সন্তান তাই যা চেয়েছি তাই পেয়েছে।অনেক পরিচিত হয়েছি এবার গল্পে ফিরে যায়।]

কি ভাবছো এতো।(আমিনা বেগম)
[আমিনা বেগম হচ্ছে ছাওদার মা।]

--ভাবছি মেয়ে অনেক বিগড়ে গেছে।এখন ইসলামের কথা বললে শুনতেই চায়না আর শুনলেই সেটা মেনে চলে না।(আশরাফ সাহেব।)

--তুমি ঠিকই বলছো বেশি আদর দিয়ে আজ মাথায় উঠে গেছ।অকে ছোটো বেলা থেকে সবকিছু শেখাতে হতো।অকে ছোটো থেকে শেখালে আজ এমন হতোনা।(আমিনা বেগম)

--ও ছোটো বেলায় যখন শিখাতে হতো।দোশতো আমাদের আমরা মনে করেছি বড় হলে যখন বুজবে তখন সহজে শিখবে।কিন্তু তার উল্টো হলো।(আশরাফ সাহেব)

--এখন কি করা যায়।।আমি ভাবছি ওকে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে।(আমিনা বেগম)

--তুমি ঠিকই বলেছো।(আশরাফ সাহেব)

--তাহলে আমি তহমিনাকে জানিয়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি বিয়েটা হয়ে যাক।বিয়ে ঠিক করা আছে।পরেতো বিয়ে দিতে হবে।আমি এখনি ফোন দিচ্ছি।

হ্যালো আসসালামু আলাইকুম।(আমিনা বেগম)

--ওয়ালাইকুম আসসালাম।(তহমিনা বেগম)

[তহমিনা বেগম কে আপনাদের পরে বলব।]

--কেমন আছিস। (আমিনা বেগম)

--আলহামদুলিল্লাহ ভালো।তোরা কেমন আছিস। আমার মা কেমন আছে।(তহমিনা বেগম)

[বুজেনই তো দুই বান্ধবীর কতদিন পর কথা হচ্ছে।আজ ১ ঘন্টার আগে কথা শেষ হচ্ছে না।]

--আমরা সবাই ভালোআছি।তোর সাথে জরুরী কথা আছে............

চলবে.......

লেখক: মোঃ ফয়সাল রানা


নবীনতর পূর্বতন