জা’ফর ইবন আবী তালীব-৪র্থ পর্ব

তা না হলে তারা যতদিন আমার আশ্রয়ে থাকতে চায়, আমি তাদেরকে নিরাপত্তার সাথে থাকতে দেব। উম্মু সালামা বলেন  ঃ অতঃপর নাজ্জাশ ী আমাদেরকে ডেকে পাঠালেন তাঁর সাথে সাক্ষাতের জন্য । যাওয়ার াাগে আমরা সকলে একস্থানে সমবেত হলাম । আমরা অনুমান করলাম, নিশ্চয় বাদশাহ আমাদের নিকট াামাদের দ্বীন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন । তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, যা আমরা বিশ্বাস করি তা আমরা প্রকাশ করে দেব । আর সবার পক্ষ থেকে জা’ফর ইবন আবী তালীব কথা বলবেন। অন্য কেউ কোন কথা বলবে না। 

উম্মু সালামা বলেন  ঃ অতঃপর নাজ্জাশীর নিকট গিয়ে দেকতে পেলাম,  তিনি তাঁর সকল পাদ্রীদের ডেকেছেন। তারা তাদের বিশেষ অভিজাত পোশাক পরে সাতে ধর্মীয় গ্রন্থসমূহ মেলে ধরে বাদশাহর ডান ও বাম দিকে বসে আছে। আমর ইবনুল আস ও আবদুল্লাহ ইবন আবী রাবীয়াকেও আমরা বাদশাহর নিকট দেখতে পেলাম। মজলিসে আমরা স্থির হয়ে বসার পর, নাজ্জাশী আমাদের দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে জিজ্ঞেস করলেন  ঃ সে কোন ধর্মমত - যা তোমরা নতুন আবিষ্কার করেছ এবং যার কারণে তোমরা তোমাদের খান্দানী ধর্মকেও পরিত্যাগ করেছ, অথচ আমরা অথবা অন্যকোন ধর্মও গ্রহণ করনি?

 জা’ফর ইবন আবী তালীব সবার পক্ষ থেকে বললেন   ঃ “মহামান্য  বাদশাহ ! আমরা ছিলাম একটি মূর্খ জাতি। মূর্তির উপসনা করতাম, মৃত জন্তু ভক্ষন করতাম, অশ্লীল কার্য কলাপে লিপ্ত ছিলাম, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতাম, এবং প্রতিবেশীর সাথে অসদ্ব্যবহার করতাম। আমাদের সবলরা দুর্বলদের অধিকার বঞ্চিত করত। আমরা ছিলাম এমনি এক অবস্থায় । অবশেষে আল্লাহ তা’আলা আমাদের নিকট একজন রাসূল পাঠালেন। আমরা তাঁর বংশ, সততা, আমানতদারী, পবিত্রতা ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত। তিনি আমাদেরকে আল্লাহর দিকে আহব্বান জানালেন, যেন আমরা তার একত্বে বিশ্বাস করি, তাঁর ইবাদত করি এবং আমরা ও আমাদের পূর্ব পুরুষরা যেসব গাছ, পাথর ও মূর্তির পূজা করতামতা পরিত্যাগ করি। 

তিনি আমাদের নির্দেশ দিলেন সত্য বলার, গচ্ছিত সম্পদ যথাযথ প্রত্যর্পণের, আত্মীয়তার বনাধন   অক্ষুণ্ণ রাখার, প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করার , হারাম কাজ ও অবৈধ রক্তপাত থেকে বিরত থাকার। তাছাড়া অশ্লীল কাজ, মিথ্যা বলা, ইয়াতিমের সম্পদ ভক্ষণ ও নিষ্কলুষ চরিত্রের নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া থেকে নিষেধ করলেন।

তিনি আমাদের আরও আদেশ করেছেন এক আল্লাহর ইবাদত করার, তাঁর সাথে অন্য কিছু শরীক না করার । নামায কায়েম করার ,যাকাত দানের এবং রমযান মাসে রোয়া রাখার । 

আমরা তাকে সত্যবাদী জেনে তাঁর প্রতি ঈমান এনেছি এবং আল্লাহর কাছ থেকে যা কিছু নিয়েএসেছেন তাঁর অনুসরণ করেছি। সুতারাং যা তিনি আমাদের জন্য হালাল এবং হারাম ঘোষণা করেছেন, আমরা তা হালাল ও হারাম বলে বিশ্বাস করি। 

মহামান্য বাদশাহ!  অতঃপর আমাদের জাতির সকলেই আমাদের উপর বাড়াবাড়ি আরম্ভ করল। আমাদের দ্বীন থেকে পুনরায় মূর্তি পুজার দিকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের উপর অত্যাচার চালা।ল

 

নবীনতর পূর্বতন