একদা এক নও মুসলিম তাবলীগ জামাতে বের হলো । জামাতে ১৪/১৫ জন সাথী ছিল
। বের হওয়ার পর থেকেই সে তার সাথীদেরকে বিভিন্ন কাজের সুন্নত তরীকা জিজ্ঞাসা করে ব্যতিব্যস্ত
করে তুললো । সে একটু সুযোগ পেলেই জামাতের আমীর কিংবা অন্য কোন সাথীকে সম্বোধেন করে
বলতো, হুজুর! অমুক কাজের সুন্নত তরীকা কি? অমুক কাজ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কিভাবে করতেন ? ইত্যাদি । এভাবে জিজ্ঞাসা করতে করতে কোন কোন সময় সে এমন প্রশ্ন ও করে
বসতো যার উত্তর তাদেরও জানা ছিল না।
এতে সাথীরা লজ্জিত হতো এবং মনে মনে বিরক্তবোধ করত । কিন্তু, এই বিরক্তি
ভাব কখনোই তারা প্রকাশ করতোনা । কিন্তু একদিন এক সাথী অসহ্য হয়ে বলেই ফেললো, আরে ভাই
! এত তাড়াহুড়া করছেন কেন? নতুন মুসলমান হয়েছেন আস্তে আস্তে সব কিছুইতো জানতে পারবেন।
এ কথাগুলো নও মুসলিমের হৃদয়ে অত্যন্ত শক্ত ভাবে আঘাত হানলো । সে মনে
প্রচন্ত ব্যাথা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে বিনীত স্বরে বললো, ভাই! আপনি কি জানেন, আমি
রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিটি সুন্নত জানার জন্য কেন এত
ব্যস্ত ? কেন আপনাদেরকে বার বার বিরক্ত করছি? সাথী জবাবে বললো, না! তাতো জানি না ।
মেহেরবানী করে বলুন।
নও মুসলিম এবার মৌখিক জবাব না দিয়ে জামাতের এক সাথী ভাইকে ১০০ হাত দূরে
দাঁড় করালো । অতঃপর সে কি যেন বিড় বিড় করে পাঠ করতঃ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটির
প্রতি হাত দিয়ে আস্তে ইশারা করলো । এতে লোকটি সাথে সাথে ১০ হাত দূরে ছিটকে পড়লো ।
এ সময় জামাতের সকল সাথী অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে উক্ত দৃশ্য প্রত্যক্ষ করছিল । দূরের
লোকটিকে ১০ হাত দূরে সিটকে পড়তে দেখে তারা আরো আশ্চার্যান্বিত হলো এবং নও মুসলিমকে
লক্ষ্য করে সকলেই বলতে লাগলো ভাই ব্যাপার কি? আপনি কোথেকে কিভাবে এই শক্তি অর্জন করলেন?
আমাদেরকে একটু খুলে বলুন ।
নও মুসলিম লোকটি বলতে লাগলো, আমি ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণের পূর্বে
দীর্ঘ ১২ বছর যাবত সাধনা করেছি । এখন আপনারা যে ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেন তা সেই সাধনারই
ফল ।
বিভাগ:
গল্প