জীবন পরিবর্তনের এক বিস্ময়কর কাহিনী : পর্ব-২ | সরলপথ.কম


এদিকে আজ দুবছর যাবৎ স্বামীর জীবনে কোন পরিবর্তন না দেখে নাহিদা বিচলিত হয়ে পড়লো । সে ভাবতে লাগলো , হায়! যদি এ অবস্থায় তিনি মারা যান, তাহলে তার কি অবস্থা হবে? তিনি কি পারবেন 
কবরে মুনকার নাকীর ফেরেশতার প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে । দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ তা'য়ালার অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করা সত্ত্বেও তারই নাফরমানি করে কিভাবে তিনি হাশরের ময়দানে তার সামনে দন্ডায়মান হবেন? আজ কয়েকদিন যাবৎ এ জাতীয় বিভিন্ন প্রশ্ন নাহিদার হৃদয় মনকে খুব বেশী পেরেশান করছে । স্বামীর ভবিষ্যত চিন্তায় মাঝে মধ্যে সে এত বেশী চিন্তিত হয়ে পড়ছে যে, খাওয়া-দাওয়া উঠা-বসা কিছুই তার ভাল লাগছেনা। তাই এখন স্বামীর হেদায়েতের জন্য সে আগের চেয়ে আরো বেশী পরিমাণে কেঁদে কেটে আল্লাহর নিকট দোয়া করতে লাগলো ।
 
নাহিদার স্বামীর নাম ফরিদউদ্দীন । একদা তার অফিস সংলগ্ন মসজিদে একটি ভি,আই,পি জামাত এলো । বড় বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাও এ জামাতে ছিলেন ।একসময় জামাতের আমীর সাহেব কয়েকজন সাথী সহ নাহিদার স্বামী ফরিদউদ্দীনের সাথে সাক্ষাত করে কিছু দ্বীনি কথাবার্তা বললেন এবং পরিশেষে তাকে ৪০ দিনের জন্য তাবলীগ জামাতে বের হওয়ার দাওয়াত দিলেন । তাদের কথাবার্তা শুনে তার মনে বেশ পরিবর্তন আসলেও জামাতে বের হওয়ার জন্য মোটেও সে প্রস্তুত ছিল না । তার এই মনের কথা জামাতের লোকজন যেন বুঝতে না পারে সেজন্য সে বললো , আমার বসতো আমাকে এত দিনের জন্য ছুটি দিতে কিছুতেই রাজী হবেন না । সুতরাং আমি যাব কি করে? জবাবে আমীর সাহেব বললেন, বসকে রাজী করানোর জিম্মাদারী আমাদের উপর ছেড়ে দিন। আপনি যেতে প্রস্তুত কিনা বলুন । সে তখন নিরুপায় হয়ে বললো, আচ্ছা, আপনারা যদি বসকে রাজী করাতে পারেন তা হলে আমি প্রস্তুত আছি । একথা বলার সময় তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বস , নিশ্চয়ই এত দিনের ছুটি মঞ্জুর করবেন না। কিন্তু খোদার কি অপার মহিমা ! আমীর সাহেব ফরিদ উদ্দীনের জামাতে যাওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতেই তিনি বলে উঠলেন, বেশ তো ! সে রাজী থাকলে আমার পক্ষ থেকে কোন বাধা নেই । আমি তাকে ৪০ দিনের জন্য ছুটি দিয়ে দিব । 
 
নবীনতর পূর্বতন